সৌভাগ্যজনকভাবে তিনবার মেরিল প্রথম আলো সমালোচক পুরষ্কার বিজয়ী হওয়ার কারণে আমি জানি এই পুরষ্কার কতটা ম্যাটার করে দেশের একজন আর্টিস্ট এর জন্য। এটাও ভাল করে জানি সমালোচক পুরষ্কারের বেলায় মেরিল এবং প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ কেউই জুরিদের সিদ্ধান্তে কখনোই হস্তক্ষেপ করেন না।
এবার মেরিল প্রথম আলো সমালোচক পুরষ্কারের স্বল্পদৈর্ঘ্য/টিভি বিভাগের সংশ্লিষ্ট জুরিদের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই বলতে চাই, খারিজ করে দিয়ে আখেরে নতুন কিছুর জন্ম হয়না। এবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে কাউকেই মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্ত খুবই দু:খজনক। ঠিক যেমন ২০২০ সালে শ্রেষ্ঠ পরিচালক ক্যাটাগরিতে কাউকে মনোনয়ন না দেয়াও ছিল দু:খজনক।

সংশ্লিষ্ট জুরিবোর্ডের সদস্যরাও খুব ভাল করেই জানেন কতটা প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হয়। এই চেষ্টা সকল প্রতিকূলতায় নিজের দেশের সংস্কৃতিকে গুটি গুটি পায়ে আরেকটু সমৃদ্ধ করার জন্যই। নিজেদের ভেতরের ক্ষুধাকে সকল বাস্তবতা মেনে নিয়েও দর্শকদের সামনে রুচিশীল বিনোদন দেয়ার নিমজ্জনের মাধ্যমেই। আমাদের অনেক খামতি আছে আমরাই স্বীকার করি। তবুও চেষ্টা করে যাই সবাই। এহেন পরিস্থিতিতে ঠগ বাছতে যদি গা উজার হয়ে যায় তাহলে অবস্থার আসলেই কতটা অগ্রগতি হবে সেটাও ভেবে দেখা উচিত।
আমরা এখন যেকোন সময়ের চেয়ে স্বর্নালী সময়ে আছি কারণ দর্শক এখন বিদেশী কন্টেন্টের পাশাপাশি, কখনো কখনো বিদেশী কনটেন্ট কে সরিয়ে রেখেও দেশী কন্টেন্ট দেখায় আগ্রহী হচ্ছেন।
এই অবস্থায় এবারের মেরিল প্রথম আলো সমালোচক পুরষ্কার এর স্বল্পদৈর্ঘ্য/টিভি সংশ্লিষ্ট জুরিবোর্ডের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে “মনোনয়ন দেয়ার মত কাউকে পাওয়া যায়নি” সিদ্ধান্ত আদৌ কতটা আমাদের শিল্পীদের উৎসাহী করবে নাকি এই পুরষ্কারের প্রতি অনীহা তৈরী করবে সেটাই প্রশ্নসাপেক্ষ।