শিঘ্রই চালু হচ্ছে ঢালিউড সিনেমায় বক্স অফিস রিপোর্ট ও ই টিকেটিং ।

"an auditorium with red chairs and a large screen"

ই টিকেটিং ও বক্স অফিস রিপোর্ট শুরু হলে সিনেমার ব্যবসা নিয়ে সব বিতর্কের অবসান হয়। প্রশ্ন উঠে তাহলে এতদিন কেন বাংলা সিনেমার বক্স অফিস রিপোর্ট হয়নি?

আমাদের সিনেমার হল মালিকদের আয় প্রকাশ করার বিষয়ে আগ্রহ ছিলোনা এমনকি সব প্রযোজকেরও না। অনেক প্রযোজক ও হল মালিক তাই আয় প্রকাশ করতেন না। ট্যাক্স তাদের একটা ইস্যু ছিলো। কালো টাকা সাদা করা যেতো। কারণ রিপোর্ট না থাকার সুযোগে আয় কম বা লস দেখানো যেতো।

এর সুযোগ এই যুগে যাদের সিনেমা চলতো না তারাও নিয়েছেন। যেমন তারা বলে বেড়াতেন ছবি চলছে হল মালিকেরা টাকা দেন নাই। অসৎ হল মালিক, বুকিং এজেন্ট ও পরিবেশক সিন্ডিকেটের কারণে অনেক সিনেমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক প্রযোজকও সরে গেছেন।

বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই শুক্রবার সিনেমা মুক্তির তিনদিন পর রবিবার পর্যন্ত একটি রিপোর্ট আসে ওখানে এটাকে উইকএন্ড বলে সেটায় রিসেপশন বোঝা যায়। মূলত এর উপরেই পরের সপ্তাহের থিয়েটার লিস্ট বাড়ে বা কমে, সাতদিন পর সপ্তাহের সেল রিপোর্ট আসে।

"the poster for police officer"
দিপঙ্কর দীপন পরিচালিত ‘ঢাকা এট্যাক’ সিনেমা ব্লক বাস্টার হিট হয় ।

দেশে ই টিকেটিং ও বক্স অফিস রিপোর্ট শুরু হলে সত্যিই ভালো হবে। এই কাজটি আমাদের মাল্টিপ্লেক্সগুলো নিজেরাও অবলীলায় করতে পারতেন সে সুযোগও তাদের ছিলো।

বহির্বিশ্বের নিয়মানুযায়ী বক্স অফিস রিপোর্ট কিন্ত পাবেন প্রযোজক ও পরিবেশক। সেটা আমাদের ঢালিউড সিনেমার প্রযোজক ও পরিবেশকরা পাবলিকলি প্রকাশ করবেন কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।

No Comments Yet

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Verified by MonsterInsights