“যেখানে শাহরুখ খান ছাড়িয়ে গেছেন দিলীপ কুমার ও অমিতাভ বচ্চনকে” এমন শিরোনামে Box Office India আর্টিকেল লিখেছে…! সেটার বাংলা তর্জমা ও মূল যায়গা গুলো আপনাদের জন্য আলোচনা করছি।
BOI
Box Office India কয়েকদিন আগে বলিউডের ইতিহাসে ৭ মেগাস্টারের নাম উল্লেখ করেন যেখানে — শাহরুখ খান, সালমান খান, অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, দিলীপ কুমার, রাজেশ খান্না ও রাজেন্দ্র কুমারের নাম ছিলো।
তবে BOI আজকে জানান বলিউডের ইতিহাস লেখা হলে নানান কারণে এদের ভিতর তিনজন স্টারের নাম সবার আগে রাখা হবে।
আর তারা হলেন দিলীপ কুমার, অমিতাভ বচ্চন এবং শাহরুখ খান। উল্লেখ্য এর আগে বলিউডের/ইন্ডিয়ান সিনেমার শতবর্ষ পূরণ উপলক্ষে FILMFARE তাদের কভারেও শত বছরের সেরা তারকা হিসাবে এই তিন মহাতারকাদের রেখেছিলেন।
স্টারডম ও ফ্যানবেজ
বলিউডের বেশিরভাগ সুপারস্টারেরা কোনো না কোনো রিজিয়নে / সার্কিটে নাম্বার ওয়ান পপুলারিটি পেলেও দেখা যায় আরেক যায়গায় টপ ফাইভ বা তার নিচে।
এনারা তিন জনই সবচেয়ে বড় যায়গা জুড়ে বেশি সার্কিটে পপুলারিটি পেয়েছে।
এনাদের ক্যারিয়ার গ্রাফ ও কোয়ালিটিতেও আছে সাদৃশ্য। হয়ত BOI এখানে অভিনয় দক্ষতা, সব শ্রেণীর অডিয়েন্সের কাছে পরিচিতি, তুমুল স্টারডম ও ফ্যানবেজ, সবচেয়ে লম্বা সময় নাম্বার ওয়ানে থাকা।
সবচেয়ে বেশি সার্কিটে স্টারডম থাকা ও দেশি বিদেশী সম্মাননা সব কিছু মিলিয়ে বলেছে। তিনি বলেন তার মতে ইন্ডিয়ার বিগেস্ট তিন মহানায়ক এনারাই।
Break & Restart
এছাড়া আরো এক যায়গায় মিল আছে। টানা রুলিং এর পর তারা অসফল সিনেমা কয়েকটা আসার পর গ্যাপ নিয়েছিলেন। মজার ব্যাপার প্রায় একই বয়সেই গ্যাপ নিয়েছিলেন।
তবে সেই গ্যাপ টি সবচেয়ে ইফেক্টিভ ভাবে কাজে লাগিয়ে শাহরুখই ব্যাক করতে পেরেছেন যা দিলীপ সাব বা বচ্চন সাব পারেননি।
দিলীপ সাব Bairaag (1976) এর মতন হিট সিনেমার পর ৫৩ বছর বয়সে একটা লম্বা গ্যাপ নিয়েছিলেন।
তবে ১৯৮১ সালে তিনি All Time Blockbuster সিনেমা Kranti দিয়ে ব্যাক করলেও তিনি ততদিনে সাইড রোলে চলে গেছেন।
ফিরে এসে বয়স্ক রোলেও বেশ কিছু ব্লকবাস্টার দিয়েছেন তবে সেসব সিনেমা তার একক লীডের সিনেমা নয়৷ পরে নাইন্টিজে পারমানেন্ট অবসর নিয়ে নেন।
অমিতজ্বি রাজনীতির গ্যাপের পর ফিরে আসলেও আগের মত আর হিট পাচ্ছিলেন না।
অত:পর ১৯৯২ সালে Khuda Gawah সিনেমা মুক্তির পর বিগ বাজেট এই সিনেমা ভালো না চলায় তিনি গ্যাপ নেন। এই গ্যাপে তার Insaniyat সিনেমায় এক্সটেন্ডেড ক্যামিও ছাড়া কোনো সিনেমাই আসেনি।
এই সময়ে বলিউড বাদশা শাহরুখ খান সিংহাসন নিজের দখলে নেন। ১৯৯৭ সালে অমিতাভ বচ্চন Mrityudata সিনেমা দিয়ে কামব্যাক করলেও সেটা চলেনি।
একই বছর তৎকালীন হিট ম্যাশিন নাম্বার ওয়ান ডিরেক্টর ডেভিড ধাওয়ান ও আরেক কমেডি জনারের সুপারস্টার গোবিন্দকে নিয়ে Bade Miyan Chote Miyan সাইন করে ব্যাক করেন।
তবে এক Shah Rukh Khan আর তার ডেব্যুটান্ট ডিরেক্টর বন্ধুর সিনেমা KKHH এর কাছে ধরাশায়ী হয়। অমিতজ্বি আর উঠে দাড়াতে পারেনি। ২০০০ সালের দিকে এসে তিনি সাইড রোল শুরু করেন।
২০১৮ তে জিরোর অসফলতার পর শাহরুখও গ্যাপ নিয়েছেন তবে Pathaan দিয়ে তার কামব্যাক দিলীপ সাবের মত বয়স্ক প্যারালাল লীড, সাইড রোল না বরং বচ্চন সাবের মত লীড রোলেই ছিলো।
বচ্চন সাব অসফল হলেও শাহরুখ বলিউডের প্রতিটি রেকর্ড দুমড়েমুচড়ে নিউ রেকর্ড ক্রিয়েট করেছেন পাঠান দিয়ে। এখানেই তিনি তাদের ছাড়িয়ে গেছেন।
King of Promotion
শাহরুখ খান কে বলিউডের কিং অফ প্রোমোশন বলা হয়। তাকে দেখেই সেই নাইন্টিজ থেকে প্রোমোশন করার স্টাইল ফলো করে এসেছে গোটা বলিউড।
পাঠানে নিজেকে খোলস আবৃত করে ননসেন্স ইন্টারভিউ আর রিল করে তিনি সময় অপচয় করেননি।
তাকে দেখে বাকিদের শেখা উচিৎ কিভাবে লো প্রোফাইল থাকা উচিৎ একজন সুপারস্টারের।